২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:২৮/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

সু চিকে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে জাতিসংঘের আহ্বান

     

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের অবর্ণনীয় কষ্ট দেখতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার সাত বিশেষজ্ঞ। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

সাতজন বিশেষজ্ঞ হলেন- মিসেস ইয়াংহি লি, মিসেস এগনেস কলামার্ড, ফার্নান্দ দে ভারেনস্, মিসেস লেইলানি ফারহা, মিসেস সিসিলিয়া জিমেনেয দামারি, মুতুমা রুতিরি এবং আহমেদ শহীদ। এই বিশেষজ্ঞরা মিয়ানমারে চলমান সামরিক অভিযান ও বিভিন্ন ঘটনাবলী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।

মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা অং সান সু চিকে ব্যক্তিগতভাবে রোহিঙ্গাদের দেখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

তারা আরও বলেছেন, চলমান সংকট বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনাসহ যেসব প্রতিশ্রুতি সু চি দিয়েছেন সেগুলো ‘ফাঁকা বুলিতে’ পরিণত হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ওপর নির্যাতনের ঘটনাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে সু চি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

৫০ বছর সামরিক শাসনের পর গত বছর ক্ষমতায় আসে নোবেল জয়ী অং সান সু চির সরকার। রাখাইনে চলমান সহিংসতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করে আসছেন সু চি। তার এই অবস্থানের কারণে নোবেল পুরস্কার ফেরত নেয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে দাবি উঠছে।

সামরিক-খসড়াকৃত মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর খুবই কম নিয়ন্ত্রণ আছে অং সান সু চির। সংবিধান অনুযায়ী সু চি রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না এবং রাজনৈতিক সংস্কারে সেনাদের ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চার লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।এবিনিউজ থেকে 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply