উদয় জন্ম-অস্ত মৃত্যু
রাহাত ভাই
,আমি আজ পরন্ত বেলার সূর্যের মত–
ডুবো ডুবো ভাব নিয়ে বেঁছে আছি।
প্রাতকালের সূর্যের মতই একদিন জন্মে
ছিলাম
ধুলোর পৃথিবীর প্রান্তরে।
হাটি হাটি পা করে, কাটিয়াছে
শৈশব কৈশুর করিনি খেয়াল একবারও,
ধীরে ধীরে বেলাও গেছে বেড়ে।
সূর্য এ খন প্রথম আর্ধের-দুপুর লগ্নে !
আমি তখন যৌবনে ;
সমর প্রান্তের বিজয়ী বীর বেশে,
রূপসী লহনার খোঁজে–
জন্মান্তরের চিহ্ন রেখে যাওয়ার
উল্লাসে।
সূর্য যখন দ্বিতীয়ার্ধে যাত্রা করে–
আমার তখন ঘুম ভাঙেগ,
খুলি হিসেবের খাতা,দেখি বে-
হিসাবে পরে আছে
অগনীত প্রীতি আর বেদনার
লেনাদেনা।
সূর্য যখন ধীর গতিতে আরও একটু এগিয়ে
গেল,
লাঠাইয়ের সুতাও বুঝি ফুড়িয়ে এল ;
পারিনা আর উড়তে-ঘুড়তে রঙ্গীন
ধরিত্রীর পরে,
পরে গেছে সুতায় টান-মালিকের
কাছে ফিরতে।
সূর্য এখন পরন্ত বেলায়,ডুবো ডুবো ভাব,
তাই নরবরে দাঁত,কুঁচকানো হাত–
পাকা পাকা চুল আর দাড়ী ।
মায়ার বাধন ছিড়ে যেতে দেয় না
তারা :
ওরা জানেনা —
জানেনা,কেবল একটা দিনের শুরুর মতই
একটা জীবন।
উদয় জন্ম আর অস্ত মৃত্যু ।।