১৯ মার্চ ২০২৪ / ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:০১/ মঙ্গলবার
মার্চ ১৯, ২০২৪ ১:০১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগে এম. মনজুর আলমের মত ত্যাগী ছাত্র নেতা পদ বঞ্চিত

     

 

প্রায় ১৪বছর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সৎ, নিষ্টাবান, পরিচ্ছন্ন মেধাবী ও কর্মীবান্ধব ছাত্রনেতা এম মনজুর আলম কমিটিতে পদ বঞ্চিত হওয়ায় অসংখ্যা শুভানুধ্যায়ী, সাবেক ছাত্রনেতা ও তূণমূল থেকে হতাশ প্রকাশ করেছেন। কমিটিবিহিন দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্ররাজনীতির জন্য একটি যুদ্ধের ময়দান ছিল। অনেক সাবেক ছাত্রনেতাদের মতে এম. মঞ্জুর আলম একজন ত্যাগী নেতা, নিরন্তর যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য শত বাধা-বিপত্তি ও দুঃখ-কষ্ট পেরিয়ে ছাত্রলীগকে আগামীর দিকে অগ্রসর করেছে। কমিটি বিহীন দক্ষিণ জেলায় রক্ত ঝরেছে হাজারো ছাত্রদের, কেড়ে নিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল মালেক জনি ও ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ভাইদের মত মেধাবী ছাত্রনেতার জীবন, সর্বস্ব লুটে নিয়েছে শত পরিবারের জয় বাংলার লোক বলে ওই দেশবিরোধীদের হাতে। তারপরেও থেমে থাকিনি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলতে। তারপরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে লাইনচ্যুত হয়নি মঞ্জুররা। আর সে মঞ্জুরা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ বঞ্চিত হয় ভাবতে অবাক লাগে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে অসংখ্য ছাত্রনেতা তাদের ফেইসবুকে লিখেছেন, ত্যাগী মেধাবী, পরিশ্রমী ছাত্রলীগ নেতা এম. মনজুর আলম যেন হারিয়ে না যায়। সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম জে আবেদীন বলেন আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী হয়ে বলতে চাই আমার দেখা মাঠের কর্মী এম. মনজুর আলম যেন হারিয়ে না যায় অপরাজনীতির কাছে। সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা যায়েদ বিন কাশেম বলেন অভিভাবকহীন চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলায় মঞ্জুর ছাত্র রাজনীতিতে ছাত্রলীগের অভিভাবক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছে। যার বুদ্ধি, পরামর্শ এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, যাদুকরী নেতৃত্বে কর্মীদের চলার পথে পাথেয় হয়েছিল, সে কর্মীদের দু’চোখে স্বপ্নের জাল বুনে দিয়ে আজ এতটুকু পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন, তার বুদ্ধি, পরামর্শ ও অভয় দিয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত করতো।

ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক এ্যানি তার ফেইসবুকে লিখেন মনে হয় মঞ্জুর সম্পূর্ণ ত্যাগ, শ্রম ও আত্মবিশ্বাস সিনিয়র নেতাদের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি। তাই হয়তো মঞ্জুর কোন অদৃশ্য ধু¤্রজালে আটকা পড়েছিল। যে বা যারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিল তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। কারণ মিথ্যা কিংবা ষড়যন্ত্র দিয়ে সত্যকে বেশিক্ষণ আড়ালে রাখা যায় না। আর যারা ত্যাগ করতে জানে তাদের কোন পদ পদবি লাগে না। কেননা তারা ত্যাগকে হাসি মুখে বরণ করতে জানে। আলোকে কখনো লুকিয়ে রাখা যায় না, অন্ধকার চূর্ন করে সে উদ্ভাসিত হবেই। সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ -সম্পাদক- অধ্যাপক ইসমাইল বলেন আদর্শ, সততা ও ন্যায়ের পক্ষে রয়েছে মঞ্জুর, ইতিহাস তার জলন্ত স্বাক্ষী। পিতা মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করে পিতার স্বপ্ন পূরণে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাকে অবমূল্যায়নে আমরা হতাশ। ছাত্রলীগের নেতৃত্ববৃন্দ নতুন আলোর খোঁজে প্রতিনিয়ত চষে বেড়াতে হবে পদ বঞ্চিত নেতা, কর্মীদের ভাবনার অলিগলি। শুধু নিজেদের নিয়েই নয়; সমাজ, দেশ এবং অবহেলিত কর্মীদের নিয়ে ভেবে ভেবে আপনাদের ভাবনাগুলো অস্থির করে তুলতে হবে। আপনাদের মস্তিষ্কেও জমা রাখতে হবে মেধাবী ও ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের। তাদের মানসিক দুঃখ-বেদনা, হতাশা-বিষণ্নতা থেকে মুক্তির কোনো পথ খুজতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দের কারণ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক মেধাবী ছাত্রলীগ কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। যার ফলশ্রুতিতে আগামীতে মেধা শুণ্যতায় ভুগবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পদ বঞ্চিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা এম. মনজুর আলম বলেন, আমি ২০০৫ সালে স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন, পরবর্তীতে সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে এবং ২০১২ সাল থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় পিতা মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণ করে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পতাকা হাতে নিয়ে আজ পর্যন্ত সমস্ত আন্দোলন সংগ্রাম সহ প্রতি মিটিং মিছিলে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছি। ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে গত ১৪অক্টোবর কেন্দ্র থেকে ঘোষিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে আমাকে রাখেনি।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply