২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ভোর ৫:৪০/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

আদর্শের বেড়াজালে রাজণীতি

     

ণীতি আর আদর্শের পথে চলা আর বলাতে জীবন চলেনা শুধু নয় সাময়িক অনুসারীরা লক্ষ্যের সঠিক চেয়ার পেতে আদর্শ বা ণীতিকে ভুলে জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়ে চলে আর বুকভরা আদর্শের , চেতনার লালিত স্বপ্নে বিভোর যৌবনের অমুল্য সময় , অর্থ ব্যয় করা আদর্শিক মানুষগুলো জোয়ারের ঢেউ তে পাশ কাঠিয়ে নিজস্বতায় নতুন স্বপ্নে পথ চলে আর উত্তাল জোয়ারে ভাটা পরা খড়শ্রোতের অসময়ে বুক আগলে দিয়ে বলে আমি আছি তোমাদের পাশে তখন হেই হেই করে সবাই বলে না তুমিই ভাল বলেছিলে ।।। রাজনীতিতে না জড়ালে উপরের অভিজ্ঞতা আমার হতনা । হাতে লিখে , মুখে বলে বক্তৃতা শিখিয়েছি কতজনকে আর কতজনকেই কর্মী বানিয়েছি সেই স্কুলে পড়ার সময় থেকেই মাঝে মাঝে মনে হয় কেন সময় নষ্ট করেছিলাম তারপরেও ভাবি সবাই সব কিছু পারেনা যারা আমার সাথে দেখা করতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করত এখন তাদের অনেকের সাথে দেখা করতে আমি যাদের জন্য অপেক্ষা করতাম তাঁরাই অপেক্ষা করে আমি শুধু শুনি আর হাসি কারন ভিতরটা আমি জানি । তবে এটাই যৌবনের উত্তম সময় তা সদ্ব্যবহার করতে পেরেছে যারা তারা সফল আর আমি ব্যার্থ কারন আমি পারিনি তাদের দেখিয়ে দিতে যে তোমরা আমার নিয়ন্ত্রনে কারন আমি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী । তবে আফসোস হয় যখন কারো অসহায় মুখ দেখি যখন দেখি ঘাট পাল্টানো নাও গুলো বিচ্ছিন্ন ছুটাছুটি করছে, যে ঘাট আকড়ে ধরে আমাকে ভুলে ছিল সেই ঘাটের মাঝির বৈঠার আঘাতে যখন ক্ষতবিক্ষত হয় তাদের অমুল্য দেহখানা তখন আমি শুধু প্রতিবাদী হয়ে তাদের পক্ষেই থাকি পারিনা ক্ষত শুকাতে কারন সময়টাতো তাঁরাই বদলিয়ে ফেলেছিল । হরেক মানুষের সানিধ্যে এসেছি শুধু নয় ক্ষমতা , প্রভাব , রাজনীতি , অপরাজনীতি কে অনেক বিশ্লেষন করে শুধু খুজে পেয়েছি আমরা প্রচন্ড অস্হির । বেশীরভাগই আমরা চরম স্বার্থপর , আমরা লোভী । আমরা নগদে বিশ্বাসী । আমাদের বেশীরভাগই লক্ষ্যহীন , আদর্শহীন আরও বললে চরিত্রহীন । যারই প্রেক্ষিতে ৮০ /৯০ দশকে সামনাসামনি যুদ্ধের রাজনীতি এখন হয়েছে চোরাগোপ্তার রাজনীতি । সম্মুখ বিরূধীতার রাজনীতি হয়েছে গুঠিবাজীর পেছনে খেলার রাজনীতি । মেধার রাজনীতি হয়েছে তেল আর চামচামির । বিরোধী প্রতিরোধের রাজনীতি হয়েছে স্ব প্রতিরোধের রাজনীতি। সময় যতই যাচ্ছে ততই খারাপ থাবায় পরছি ।অস্হির আমরা শুধু নয় আমাদের প্রজন্মরাও ।আমরা সকালে একবুকে বিকেলে আরেক ,আমরা নিজ গন্ডিতে ঘুরপাক খাচ্ছি তাই যা বলছে তাই শুনছি । বিবেকের ঘরে আতুর করেছি আমাদের মা বাবার শিক্ষা এবং তাদের চাওয়া পাওয়াকে । আমরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনীতির নামধারী ভাইদের ছুড়ে ফেলা মাছের কাটা চর্বন করে স্বাদ নিচ্ছি । আমরা নেতা উপনেতার লোভে নিজেই নিজের ভাই , বন্ধু প্রতিবেশীর গলায় ছুরি চালাচ্ছি । আর যাদের ভাই বলছি , যাদের বন্দনায় সকাল শুরু করছি তারা ময়লা আবর্জনার স্তুপে মুখ ডুকিয়ে একটু নরম তুলতুলে হাড্ডিও খুজে নিচ্ছে নিজের জন্য নিজের পরিবারের জন্য বিনিময়ে নিজেরা দেশের পরিবর্তে ইউরোপ আমেরিকার বিলাসী ব্যাবসা এবং অবস্হান তৈরী করছেন ।নিজেদের সন্তানদের পৃথীবির শ্রেষ্ট্র বিদ্যালয়ে পড়ানোর প্রতিযোগিতায় অথচ আমরা তাদের সন্তানদের এখনো ভেক্টর বা এলগরিদম শিখাতে পারি আর নিজেদের সন্তানদের সস্তা একটা স্কুলে কোনরকম শিক্ষার জন্য ধন্যা দিয় । আমরা নিজের যোগ্যতা ভুলে তাদের যোগ্য করি । নিজের বাস্তব একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে আরও পরিস্কার হবে : ২০০৪ সালের দিকে আমি অফিসিয়াল কাজে যেতাম তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছোট ছেলে আরাফাত ভাইয়ের ডিও এইচ এস পরে গুলশানের অফিসে । প্রপেশনাল কারনে আমার সাথে সখ্যতা ছিল তাই একদিন প্রশ্ন করেছিলাম ভাই সারাদেশে আপনার মা বাবার ছবি ঝুলিয়ে রাখে আর আপনার অফিসে শুধু আপনার মেয়েদের ছবি কেন । উনি হেসে উত্তর দিলেন আমার মেয়েরাই আমার নেত্রী । এই ছোট উত্তরটা ওইদিন আমাকে একটা শিক্ষা দিয়েছিল যা আমি কোনদিন ভুলবনা । উনিতো স্বয়ং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সন্তান আর বাকীদের কথা বাদ দিলাম কারন প্রতিটা স্তরের মাঝে এটাই আসল অবস্হা আর আমরা বোকারামরা কত সহজেই বুক পেতে দিই । ১/১১ বড় বড় চোরেরা কিন্ত ঠিকই পুরস্কৃত হয়েছে সব দলেই আর ফেসেছেন সাদাসীদারাই । আজ আর নয় । ১৫ মিনিটের রাস্তায় ১ ঘন্টা বসে আর কিছু নয় ।

জিল্লুর রহমান , সাধারন সম্পাদক , জাতীয় পেশাজীবী পরিষদ

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply