১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:৪৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১:৪৯ অপরাহ্ণ

আসছে ভয়ংকর অস্ত্র ও ইয়াবা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি রোহিঙ্গারা

     

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন
দিনদিন বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারে বিদ্রোহী সংগঠন আরসা বা আলেকিনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বেশির ভাগই শরণার্থীদের আড়ালে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা এখানেও এসেও ফের অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার আড়ালে বিভিন্ন মৌলবাদি গোষ্টি আলেকিনসহ সন্ত্রাসীদের সাথে আতাঁত সহ সন্দেহজনক ভুমিকার কারণে ৩টি এনজিওকে তাদের কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছে। খোদ সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও স্বীকার করেছেন ‘রোহিঙ্গা স্রোতে আসছে ভয়ংকর অস্ত্র আর ইয়াবা’। তবে কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এখানে মিয়ানমারের বিদ্রোহী কোন আলেকিন নামক সন্ত্রাসীদের তৎপরতা নেই এবং কোন আলেকিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারও করেনি পুলিশ।
মিয়ারমারে সেনাদের নির্যাতনের মুখে গত ২৫ আগষ্টের পর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে দলে দলে বাংলাদেশে প্রবেশ করে রোহিঙ্গা মুসলামান ও কিছু হিন্দু পরিবার। তারা বাংলাদেশে এসে কক্সবাজাররের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আশ্রয় নেয়। মানবিক কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার এসব রোহিঙ্গাদেও মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এসে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান থেকেও আসছে ত্রাণ সহায়তা। মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার ঘটনার প্রেক্ষিতে এদেশে পালিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া মুসলিম রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
মিয়ানমারের মন্ডু মেরুলোয়া ফকিরা পাড়ার এলাকায় বাসিন্দা ২২/২৩ বছরের যুবক ছৈয়দ হোসেন। আশ্রয় নিয়েছে কুতুপালং ক্যাম্পে। পেশায় তিনি ব্যবসায়ি। ফকিরাপাড়া বাজারে ক্রোকারিজের দোকান করতেন। তারা ৫ ভাই এক বোন। মা ও বাবা জীবিত। তারা বাবাও আরএসও নেতা। এ সশস্ত্র গোষ্টির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তার বাবা তিন বছর কারাগারে ছিলেন। আলেকিন সদস্যদের চাপের মুখে গত এক বছর আগে যোগ দেয় আলেকিন নামের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে। প্রতিদিন তার মতো আরো শতশত যুবককে সশস্ত্র ট্রেনিং দেয়া হয়। তাদের প্রধান নেতা পাকিস্তানের বংশোদ্ভুত মিয়ানমারের নাগরিক হাফেজ আতা উল্লাহ। তার ছৈয়দ হোসেনদের নেতা ছিলো মন্ডু বাহার ছড়ার বাসিন্দা মৌলভী মোক্তার, ওকাট্টা (চেয়ারম্যান) নজীর আহম্মদ ,এনায়ে উল্লাহ, মুফিজ, ওকা সালামত ,মৌলভী ইয়াছিন,  জাবের উল্লাহ, ফকিরারা পাড়ার ইব্রাহিম, আবুল হাসিম, গুরাপুতুসহ আরো অনেকে। তারা সবাই ছিলো সমাজ সর্দার ও প্রশিক্ষিত আলেকিন নেতা। তারা কিন্তু নারায়ে তকবির বলে হামলা করে। আহত ও নিহত হন অনেকে। পরে নেতারা বেশির ভাই এদেশে পালিয়ে এসে কুতুপালং, বালুখালী, উচিপ্রাং, লেদা, নয়াপাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ও সাবরাং এলাকায় আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গাদের অত্যাচার নির্যাতনের খবর বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কুতুপালং এসে স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধির মধ্যস্ততায় সেখান থেকেই কিছু মিডিয়াকে ব্যবহার করে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়।
আলেকিন গ্রুপের না গেলে রোহিঙ্গা মুসলমান যুবকদের অমানষিক নির্যাতন করার কথাও জানান এই আলেকিন সদস্য। তাদের সাথে যোগ না দিলে এবং আলেকিন সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাদের পাহারা না দিলে চোখ বেঁধে অমানষিক নির্যাতনও চালিয়েছে। আলেকিনের কথা মতো যুবকেরা কাজ না করায় পরে তাদের গ্রাম থেকে কয়েজনকে ধরে নিয়ে যায় পাহাড়ে। সেখানে নিয়ে গিয়ে বোমা প্রশিক্ষণ দেয় তারা। আলেকিন নেতাদের কথায় গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দাই উৎসাহিত হয়ে পড়েছিল। যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল তাদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতো আলেকিন।
ওই যুবক স্বীকার করেন, আলেকিনের নির্যাতনের ভয়ে প্রতি ঘর থেকে রোহিঙ্গা যুবক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে যোগ দেন, ট্রেনিং নেন এবং হাত বোমা ও অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেন।
এদেশে আশ্রয় নেয়া যুবক ছৈয়দ হোসেন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে লুন্ঠিত অস্ত্রগুলো আলেকিন নেতারা তাদের ঘাটিতে নিয়ে যায়।
তিনি স্বীকার করেন, বোমা তৈরি করা হতো হাতে। বিদেশ থেকে প্রশিক্ষিত বোমাকারিগররা বানিয়ে সদস্যদের প্রতিজনকে তিন কওে বোমা দেন। গত এক বছর ধরে তারা সশস্ত্র ট্রেনিং দিচ্ছে। প্রতিজনকে অস্ত্র দেয়ার অঙ্গিকারও করে আলেকিন নেতারা, কিন্তু পরবর্তীতে তাদের হাতে অস্ত্র দেয়নি। শুধু হাত বোমা আর একটি করে লম্বা ধারালো দা দেয়া হয়েছিল।
তিনি জানান, মেরুলোয়া ফকিরাপাড়ার মন্ডু এলাকায় রয়েছে একটি পাহাড়। পাহাড়টি কাশেম সাহেবের পাহাড়েই নামে পরিচিত এবং সেখানেই সশস্ত্র আলেকিনের প্রধান ঘাটি । সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যেতে পারে না বলে জানান আলেকিন সদস্য হোসেন।
ওই যুবক বলেন, আলোকিন নেতারা মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ করে আরকান শাসন করতে এক জায়গার মানুষকে অন্য জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ওই যুবক বলেন, মন্ডু থেকে নেয়া সদস্যদের মেরুলোয়া, মেরুলোয়ার লোকজনকে আন্দামে, আন্দামের মানুষ হাসছুরায়, হাসছুরার মানুষ কুল্লুমে, কুল্লুমের মানুষ শীথলিক্ষায় আলাদাভাবে দায়িত্ব দেয়া হতো। নিজ নিজ এলাকায় তাদের দায়িত্ব এ পর্যন্ত দায়িত্ব দেয়া হয়নি কোন আলেকিন সদস্যকে।
গত ২৫ আগস্ট দিনের শুরুতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৩০টি তল্লাশি চৌকিতে আলেকিনের সদস্যরা নারায়ে তকবির বলে যে হামলা চালিয়েছিল, তার পাল্টা জবাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আক্রমণ শুরু করে। সেনাবাহিনীর পাল্টা অভিযানের মুখে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখনো রোহিঙ্গা আসা অব্যাহত আছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলার জন্য মিয়ানমার সরকার ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’কে দায়ী করেছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আলেকিনের সদস্যরাও এখানে এসে মিয়ানমারে হামলার কথা স্বীকার করেছে। এই সশস্ত্র সংগঠনটিও বলেছে যে তারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকার আদায়ের কাজ করছে।
রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কথা আগে শোনা গেলেও এই সংগঠনটির নাম আগে শোনা যায়নি। এই সংগঠনের নাম আরসা। কিন্তু এখানে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আরসা বললে চিনেন না, আলেকিন বললেই তারা স্বীকার করছে ট্রেনিংসহ বিভিন্নভাবে হামলায় অংশ নেয়ার কথা। বুঝা যাচ্ছে, আরসা নামের এই ছায়া সংগঠনটি রাখাইনে বিদ্রোহীদের একটি ভিত্তি তৈরি করতে চায়।
ইতোমধ্যেই মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা বা আলেকিনকে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বলে ঘোষণা করেছে এবং বলছে রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দায়ী। কিন্তু বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাসহ আরসা বা আলেকিন সম্পর্কে জানে এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরসা বা আলেকিন নামের এই সংগঠনটির কৌশল বেশ দূর্বল এবং বেশিরভাগ রোহিঙ্গা এদের সমর্থন করে না। আলেকিনের জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের এ দুর্গতি বলে স্বীকার করেন রোহিঙ্গা মুসলমানরা।
লেদা ক্যাম্পে অবস্থানকারী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে আরসা বা আলেকিনের যে নেতারা আছে এবং আরসা বা আলেকিনের ‘আমির’ সাথে এখনো যোগাযোগ আছে তাদের। যদিও আতা উল্লাহর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই তাদের।
তারা বলছে, আলেকিনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই তাদের। লেদা ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া অনেকেরে সাথে আলাপ কালে তাদের সবাই আরসা বা আলেকিনের অবস্থান সম্পর্কে জানে এবং সংগঠনটি নিয়ে কথা বলার সময় কিছুটা ভয়েই কথা বলছিল তারা। মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠি আলেকিনের ২২ সদস্য বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও কক্সবাজার পুলিশ এ সর্ম্পকে কিছুই জানেন না।
বিশ্লেষকরা বলছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠির প্রশিক্ষিতদের বেশির ভাগ বাংলাদেশে চলে এসেছে। সাথে নিয়ে এনেছে ভয়ংক অস্ত্র। এখানে এসে তারা বিভিন্ন মৌলবাদি জঙ্গীগোষ্ঠির সাথে যোগাযোগ করছে। এতে করে আগামীতে এসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ]
এদিকে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠি এখানে এসেও এদেশিয় কিছু মৌলবাদি গোষ্ঠির সাথে তৎপরতা শুরু করেছে। অনেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তার নামে অন্য কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
সন্দেহজনক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে তিনটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে (এনজিও) রোহিঙ্গা শিবিরে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে নিষেধ করেছে সরকার। এগুলো হচ্ছে—, মুসলিম এইড বাংলাদেশ, ইসলামিক রিলিফ ও আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন। ১১ অক্টোবর বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুহাম্মদ ফারুক খান, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স এবং মাহজাবিন খালেদ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মাহজাবিন খালেদ বলেন, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তিনটি এনজিওকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা অন্য কোনো কারণে সেখানে কাজ করছিল বলে মনে হয়েছে। এই তিন প্রতিষ্ঠান এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও তা নেয়নি। অনুমতি ছাড়া অন্যদের কার্যক্রমও বন্ধ করতে বলা হয়েছে বলে জানান মাহজাবিন খালেদ।
বৈঠক সূত্র জানায়, এই তিনটি এনজিওর নাম উল্লেখ করে বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব জানান, এসব এনজিওর কার্যত্রক্রম শুধু ত্রাণ তৎপরতায় সীমাবদ্ধ ছিল না। তাদের বিষয়ে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আপাতত তাদের কার্যত্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালে মিয়ানমারে সহিংসতার সময় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে তিনটি এনজিওকে সরকার থেকে নিষেধ করা হয়েছিল। ওই তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল, অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গার, মুসলিম এইড-ইউকে এবং মেদসা সঁ ফ্রতিয়ে-এমএসএফ।
অপরদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে দীর্ঘদিন রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি (১২ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে- ১ এ রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে একথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী জাতিসংঘ অঙ্গিকার রক্ষা করেনি দাবি করে বলেন, বসনিয়া ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মিয়ানমারে। তাই স্রোতের মতো রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে। এদেশে আসার সময় নিয়ে আসছে অস্ত্র আর মরণ নেশা ইয়াবা ট্যাবলেট।
রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশে সামাজিক বিপর্যয়ের আশংকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী কাদের বলেন, এদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো কিংবা অন্যান্য দেশে স্থানান্তরের জোর দাবী তুলেন তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আফরুজুল টুটুল বলেন, এখানে মিয়ানমারের বিদ্রোহী কোন আলেকিন নামক সন্ত্রাসীদের তৎপরতা নেই এবং কোন আলেকিন সন্ত্রাসীকে এ পর্যন্ত গ্রেফতারও করেনি পুলিশ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply