১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৫২/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১২:৫২ অপরাহ্ণ

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে জেলা পুলিশের আলোচনা সভা

     

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৪ আগস্ট সোমবার গাজীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, গাজীপুর আদালতের পিপি হারিছ উদ্দিন আহমেদ, জিপি আমজাদ হোসেন বাবুল, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ প্রমূখ। এ উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের রক্তদান কর্মসূচী এবং সভা শেষে গণভোজের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন সংসদ নাকি অযোগ্য লোকদের একটি কেন্দ্র। সংসদ না-কি অযোগ্য। সংসদে যখন আইন পাশ করে বেতন বাড়ায় তখন সংসদ খুব যোগ্য হয়, আইন পাশ করে যখন বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা হয় তখন সংসদ খুব যোগ্য হয়। তখন কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা তখনই যখন বলা হয়, বিচারকদের ভুলের বিচার হবে সংসদে।

প্রধান বিচারপতিকে উদ্দ্যেশ্য করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমি সংক্ষেপে বলতে চাই, বিচারকদের অপসারনে জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংক্রান্ত রায় নিয়ে আপনি অযাচিতভাবে স্ব-প্রণোদিত হয়ে যে কাজগুলো করেছেন, তা আবার নিজের ইচ্ছায় প্রত্যাহার করে নিন। তা যদি না করেন, যদি আপনি মনে করেন, বিচার বিভাগকে জাতির প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাবেন, তা হলে আমাদের বুঝতে হবে বিশেষ কোন এজেন্ডা নিয়ে এ কাজ করেছেন। আর যদি প্রকৃতই কোন এজেন্ডা না নিয়ে থাকেন, আপনার দায়িত্ব আপনার রায় আপনি সংশোধন করুন। এ রায়কে নিয়ে প্রধান বিচারপতি যেসব কথা বলেছেন, তা অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত।

মন্ত্রী আরো বলেছেন, বিচারকদের অপসারনে জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংক্রান্ত রায়কে ঘিরে মাননীয় প্রধান বিচারপতি যে কথাগুলো বলেছেন, সেটা খুবই দুঃখের, বেদনার এবং নিন্দনীয়।

প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে বলেন, তিনি জাতির কোন একক নেতা ছিলেন না, তিনি মুক্তিযুদ্ধের কোন একক নেতা ছিলেন না।

প্রধান অতিথি বলেন, আমরা দেশের মানুষকে ওয়াদা দিয়েছিলাম ক্ষমতায় গেলে দেশে ৭২’র সংবিধান পূনঃপ্রবর্তন করবো, ৭২’র সংবিধানে দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এটা আমাদের নির্বাচনী মেনুফেস্টুতেও ছিল।

বঙ্গবন্ধু ৭২’র সংবিধানে লিখেছিলেন যে, রাষ্ট্রপতি যদি ভুল করে মহান জাতীয় সংসদ তার বিচার করবে, অভিসংসন (ইমপিজমেন্ট) করতে পারবে। সেখানে যদি প্রধানমন্ত্রীও ভুল করে তার বিচারের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের আছে। তিনি হলেন রাষ্ট্রের দ্বিতীয় ব্যক্তি। রাষ্ট্রের তিন নম্বর ব্যক্তি হলেন মাননীয় স্পীকার। তার বিচারও জাতীয় সংসদ করবে। চার নম্বর ব্যক্তি হলেন প্রধান বিচারপতি। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, প্রধান বিচারপতি ভুল করলে তার বিচারও জাতীয় সংসদ করবে। এ প্রচেষ্টা পূরণের জন্য আমরা মহান জাতীয় সংসদে বললাম, জাতীয় সংসদই বিচারকদের বিচার করবে। এ ব্যাপারে কেস হয়েছে, রায় হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টে এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আইনী লড়াই করবো। কোর্ট যদি মনে করেন জাজদের বিচার সংসদে করবে সেটাও বলতে পারেন, যদি মনে করেন তাদের বিচার জুডিশিয়াল কাউন্সিল করবে, তার মতও দিতে পারেন। আদালতের সে ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্চ করি না, অস্বীকারও করিনা। জুডিশিয়াল, বিচার বিভাগ স্বাধীন, তারা স্বাধীনভাবে বিচার করবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply