২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৪২/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১২:৪২ অপরাহ্ণ

সুন্দরগঞ্জে বন্যায় ২১ হাজার মানুষ পানি বন্দি

     

গোলজার রহমান
কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়েছে প্রায় ২১ হাজার পরিবার। নদী ভাঙ্গনে মুখে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গত ৪ দিন ধরে একটানা ভারি বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার ৯ ইউনিয়নের প্লাবিত হওয়ায় ২১ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন। তলিয়ে গেছে ২ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত। পানি বন্দি মানুষ গবাদি পশু হাঁস-মুরগী নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। অনেকেই বাঁধে ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে অবর্ণনিয় অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বন্যা এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানিয় জলের অভাব। কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার জানান, প্রবল বর্ষণ ও বন্যার পানির তোড়ে ভাটি কাপাসিয়া, লালচামার এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ২টি চর কাপািসয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লাল চামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বানভাসি মানুষগুলো পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম সরকার জিমি জানান, তার ইউনিয়নে ২ হাজার ৫’শ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে। ছাপড়াহাটী ইউনিয়নের ২’শ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত পানি বন্দি মানুষ জনকে সরকারিভাবে কোন সহায়তা দেয়া হয়নি। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায় বন্যায় ১৬’শ হেক্টর আমন ধান, ৪২ হেক্টর বীজতলা ৪৫ হেক্টর শাক সবজি নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, বন্যায় ৯ ইউনিয়নের ২১ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এ ৯ ইউনিয়ন হচ্ছে তারাপুর, বেলকা, দহবন্দ, হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুর ও ছাপড়াহাটী। পানি বন্দি ২১ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরূপন করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুন্দরগঞ্জ ইউনিটের এসও এটিএম মোনায়েম হোসেন জানান, সকালে সুনন্দরগঞ্জ এলাকায় ২৪ পয়েন্ট ৮৮ সেঃ মিঃ পানি বিরাজ করে। দুপুরে পানি বিপদ সীমার ২৪ সেঃ মিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply