বাংলাদেশ-ভারত ৫টি স্থল-রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে যাত্রী কল্যাণ সমিতির আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোট
ঢাকাঃ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ থেকে ভারতের ৫টি আন্তজার্তিক স্থল-রুটে সরকার টু সরকার সম্পাদিত প্রটোকলের শর্ত লংঘন করে সরকারী ও বেসরকারী বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির কর্তৃক দায়েরকৃত এক রিট মামলা শুনানি শেষে বিচারপতি আশরাফুল ইসলাম ও আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।
রিট আবেদনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা-কোলকাতা-ঢাকা রুটে সরকার টু সরকার সম্পাদিত প্রটোকলের শর্তানুযায়ী ১১ ডলার অর্থাৎ ৮২ী১১ = ৯০২ টাকা প্রায় (বাংলা টাকায়) নাস্তাসহ বাসভাড়া আদায়ের শর্ত থাকলেও সরকারী পরিবহন সংস্থা বিআরটিসিসহ সকল বেসরকারী প্রতিষ্টান সমূহ ১৭০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করছে। এতে এই রুটে প্রতিদিন যাতায়াতকারী প্রায় ৮০০০ যাত্রীর স্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই বাস রুটটি চালুর পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করায় পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ঢাকা-কোলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-খুলনা-কোলকাতা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, কোলকাতা-ঢাকা-আগরতলা, ঢাকা-সিলেট-শিলং-গৌহাটি- রুট সমূহ চালু হলেও এসব রুটে এসি/নন এসি বাসের ভাড়া নির্ধারিত না থাকায় অপারেটর প্রতিষ্টান সমূহ ইচ্ছেমত বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে সংগঠনটি অভিযোগ করে।
বিষয়টি সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের নজরে এনে একটি ন্যায্য ও গ্রহনযোগ্য ভাড়া নির্ধারণ করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার অনুরোধ জানালে সরকার কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহন না করে প্রতিযোগিতা মূলকভাবে অপারেটর নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, এর মধ্যে দিয়ে একটি সুনিদিষ্ট মালিক গোষ্টিকে লাভবান করার অপচেষ্টা করছে বলে সংগঠনটির অভিযোগ। এতে সরকারী-বেসরকারী অপারেটরদের বাসে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী আরো বেশি বেড়ে যাওয়ার আশংখ্যা থাকায় দেশের যাত্রী সাধারণের স্বার্থে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বিষয়টি প্রতিকারের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং ১০৩২৯/১৭ দায়ের করে।
মহামান্য হাইকোর্ট শুনানি শেষে আবেদনটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
একইসাথে সুনির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ না করে প্রকাশিত অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা সেই বিষয়েও রুল জারী করে মহামান্য হাইকোর্ট সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।