২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:৪৪/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

রামগঞ্জে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও চেয়ারম্যান গ্রুপে সংঘর্ষ পুলিশসহ আহত ১০

     

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষককে মারধরকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানা গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার দাবীতে ৫ম, ৮ম ১০ম শ্রেনীর মডেল ট্রেষ্ট পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে সড়কে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা কালে রানার সমর্থক নোমান হোসেন এস.আই মনির হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
সূত্রে জানায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইসলামীয়া মাদ্রাসা মসজিদের ঈমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আবু ইউসুফকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন রানা ও তার লোকজন অতর্কিত ভাবে মসজিদের সামনে মারধর করে। ঘটনার পর স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম.এ মমিন পাটোয়ারী বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সাময়িক পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে চেয়ারম্যান রানা ও তার সহযোগীদের বিচারে দাবীতে মাদ্রাসা মাঠে ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় রানা লোকজন উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নূর আলম, ছিদ্দিকুর রহমান,আঃ রহিম মোঃ সালাইমান, আবদুল কাদের,মোঃ সুজন,অভিভাবক জাকির হোসেন মাসুদ, আলমগীর হোসেন আহত হয়েছে। আহতদের রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করলে নোয়াগাঁও হাজী বাড়ির মোঃ নোমান তার লোকজন নিয়ে উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাৎক্ষনিক এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মফিজুল ইসলাম জানান,সকাল থেকেই আমরা উত্তেজিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা কালে বাহিরাগত ব্যক্তি পুলিশের উপর চালায়।
অভিযুক্ত নোয়াগাও ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানা বলেন,শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদের ভিতরে অনুষ্ঠিত মিলাত-মাহফিলে ইমাম সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা না বলে বিএনপির নেত্রীর জন্য দোয়া করে এতে নিজেকে স্থিত রাখতে না পেরে ধাক্কা দিয়েছি। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়। যেহেতু শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি ঢাকাতে চলে গিয়েছি সেহেতু শনিবার মাদ্রাসা মাঠে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কিংবা পুলিশের উপর কারা হামলা করেছে,আমি বলতে পারবো না।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোতা মিয়া জানান, সৃষ্ট ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply