২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ১:৪৬/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম থেকে আরো একজন প্রতিমন্ত্রী ,উপ- প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ!

     

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের লন্ডনযাত্রা বাতিল করিয়েছেন। মঙ্গলবার ডেকে নিয়ে গণভবনে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন তিনি। এ সময় দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা হয় তাদের মধ্যে। দলীয় সূত্রমতে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে নেওয়া হলেও সরকারে তার গুরুত্ব কমেনি সামান্যতম। এদিকে কয়েক দিন ধরেই দলে সক্রিয় হচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ। গতকাল ছোট ভাইয়ের বিয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে লন্ডন যাওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর  সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর তা বাতিল করা হয়।

শেখ হাসিনা সৈয়দ আশরাফকে ডেকে নিয়ে গণভবনে দীর্ঘ বৈঠকে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। ওই বৈঠকে সৈয়দ আশরাফকে আবারও সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দলের একাধিক সিনিয়র নেতাও এমনটি মনে করছেন।

সূত্রমতে, সৈয়দ আশরাফ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। তবে আশরাফ নাকি এ মুহূর্তে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসতে চান না। সে ক্ষেত্রে সৈয়দ আশরাফকে আরও মর্যাদার জায়গায় আনা হতে পারে। এমনকি উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করার চিন্তাভাবনাও চলছে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

৯ জুলাই সৈয়দ আশরাফকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার বিষয় নিয়েও দলের মধ্যে নানান ধরনের গুঞ্জন শোনা যায়। তবে সব আশঙ্কা কেটে যায় প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক মনোভাবে। মঙ্গলবারের পর সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে দলে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে তার সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসার সম্ভাবনা নিয়ে। ঈদের পর মন্ত্রিসভায় আরেক দফা রদবদলেই তার বাস্তবায়ন ঘটতে পারে। বাদ পড়তে পারেন বিতর্কিতরা, আসতে পারেন বেশ কয়েকজন নতুন মুখ।

দলীয় সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দফতরবিহীন করলেও এখন তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেই রাখতে চান। সৈয়দ আশরাফ এ মুহূর্তে লন্ডন গেলে রাজনৈতিক মহলে নানা ধরনের গুঞ্জনের ডালপালা ছড়াতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই প্রধানমন্ত্রী চাননি সৈয়দ আশরাফ লন্ডনে যান। ১/১১-এর বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বস্ত আশরাফকে দল ও সরকারে কোনোভাবেই অবমূল্যায়ন করতে চান না আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন তাকে। লন্ডন থেকে বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাও আশরাফের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

সূত্র জানায়, তাকে দফতরবিহীন করার অল্প কয়েক দিনেই সেটাতে পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী তাকে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিযুক্ত করতে চেয়েছেন। সৈয়দ আশরাফ কোনো মন্ত্রণালয় নিতে চান না। প্রধানমন্ত্রী তাকে দলে আরও সময় দিতেও বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের মতো একজন সৎ ও মেধাবী রাজনীতিককে হাতছাড়া করতে রাজি নন। সৈয়দ আশরাফ তার পাশে থাকবেন না, এটাও মেনে নিতে পারছেন না। এ কারণে তিনি তাকে এখন বিদেশে যেতে দিতে রাজি নন। তাকে আপাতত বিদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সৈয়দ আশরাফও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ও তার নেত্রীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে তার বিদেশ সফর স্থগিত করেছেন।

এদিকে সৈয়দ আশরাফ গোটা দেশ থেকে গ্রহনযোগ্য সৎ ও সুশিক্ষিত যাদের দলে ও বাইরে জনপ্রিয়তা রয়েছে এমন কয়েকজনকে নতুন মন্ত্রী পরিষদে ইন করাতে চান বলে আভাস পাওয়া গেছে।এই তালিকায় চট্টগ্রাম থেকে দুইজনের নাম রয়েছে।একজন দক্ষিন জেলার অন্যজন উত্তর জেলার।তন্মধ্যে একজন টেকনোক্রেট তালিকায় হবেন বলে ওই সুত্রটি বলছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply