২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:৩৭/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারার ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও শুনলেন স্বরাষ্টমন্ত্রীর বক্তব্য, তারা হাসলেন ও ভাবলেন

     

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারার ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও শুনলেন স্বরাষ্টমন্ত্রীর বক্তব্য । তারা হাসলেন ও ভাবলেন।কিন্ত ইয়াবা ব্যবসা ছাড়বেন এমন ইংগিত মিলেনি আমাদের অনুসন্ধানে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের শহরে ও গ্রামে বাড়ী নির্মাণ প্রক্রিয়া দেখে তরুনেরা লোভ সামলাতেও পারছে না।সভাস্হলে আমাদের প্রতিনিধি শুনছেন ইয়াবার টাকায় নির্মিত বাড়ী ভেঙ্গে দেয়া  ও গডফাদার জাতীয় কয়েকজনকে ক্রস ফায়ার দেয়া হলে আনোয়ারায় মাদক ব্যবসা কমে আসবে হয়ত।এই কথআগুলো আনোয়ারার মন্ত্রী সমর্থিত ও দেশের কল্যাণকামী সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের।স্বরাষ্টমন্ত্রীআজ শনিবার বিকেলে আনোয়ারায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখছিলেন।এই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মাদক ও সন্ত্রাস উন্নয়ন সমৃদ্ধির অন্তরায়। এ দুটোকে দমন করা গেলে দেশের উন্নয়ন সুনিশ্চিত। শত প্রতিকূলতার মধ্যে জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগনও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় বদলে যাচ্ছে প্রিয় বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, থানায় মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষে যাঁরা সুপারিশ করবে তাঁদের আটকে দিন। কারণ মাদক একটি সর্বনাশী নেশা। এটি দেশ ও যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখন থেকে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স ঘোষিত হলো। মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের ফায়ার সার্ভিস এখন শুধু আগুনই নেভায়না। তাঁরা দেশের প্রয়োজনে সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভূমিকা পালন করছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মদ খান এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রয়াত মহান নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর বড় ছেলে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।বিশেষ অতিথির বক্তব্য জাবেদ বলেন- আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আনোয়ারাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হলো। এতদিন আনোয়ারার কোথাও আগুন লাগলে পার্শ্ববর্তী উপজেলা হতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসত। দূর থেকে আসতে যেসময় লাগত তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতো। এ স্টেশন স্থাপন হওয়ায় আশা করছি আর তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রশাসনের সর্ব্বোচ্চ কর্তাদের উপস্থিতিতে আনোয়ারাকে ইয়াবা মুক্ত করার আহ্বান জনালেন প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। যে কোন মুল্যে এই উপজেলাকে ইয়াবার বদনাম থেকে রক্ষা করতে তিনি প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়ে বলেন, আনোয়ারায় ইয়াবা ব্যবসা এবং ইয়াবা সেবনের সাথে যারাই জড়িত থাকুকনা কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে । স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার বা রাজনৈতিক নেতা , সাংবাদিক কিংবা সমাজপতি যেই হউক ইয়াবার সাথে যার সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের রেহাই দেয়া হবেনা। শুধু তাই নয় এদের সাথে(ইয়াবা ব্যবসায়ী) যাদের অন্তরঙ্গ সর্ম্পক রয়েছে কিংবা সুপারিশ করবে থানা প্রশাসনকে তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় অানার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
আজ(১৫ জুলাই) আনোয়ারায় ফায়ার সার্র্ভিস ষ্টেশন উদ্ভোধন কালে বিশেষ অথিতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন । ইয়াবার ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে কঠোর ভূমিকা রাখার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণের সার্বিক সহযোগীতাও কামনা করেন ।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল জলিল ও সরকারের যুগ্ম সচিব এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক,চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, কোস্ট গার্ডের পূর্ব জোনের ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমরান ভূইয়া, আনোয়ারার ইউএনও গৌতম বাড়ৈ আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি মফিজ উদ্দিন, আনোয়ারা ওসি দুলাল মাহমুদ ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, জেলা পরিষদ সদস্য রেহানা ফেরদৌস চৌধুরী, আনোয়ারার ভাইস চেয়ারম্যান মৃণাল ধর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম, পরৈকোড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী আশরাফ মিয়া, বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, বরুমচড়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন চৌধুরী, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এ এ কাইয়ুম শাহ প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা যায়, ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটিতে , ২৭ জন লোকবল ও ২ টি অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি সংযুক্ত করা হয়।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply