১৯ মার্চ ২০২৪ / ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:২০/ মঙ্গলবার
মার্চ ১৯, ২০২৪ ২:২০ অপরাহ্ণ

ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (২০২) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমীপে

     

মাননীয়,

     গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমীপে,

শ্রদ্ধেয় হাসিনা আপারে,

গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া ভিশন ও মিশন কায়েমের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া মহা- সুখেই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া চাল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে হিমসিম খাইয়া ছাগলের তিন নং বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাচিয়া আছি। গত সপ্তাহে আপনার মাথামোটা অর্থমন্ত্রী ‘মাল’ সমীপে লিখিবার পর এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম বলিয়াই লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার পরও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন এবং ভুল হইলে নিজগুনে মাফও করিয়া দিবেন।

আপারে,

আপনি হইলেন, এশিয়ার লৌহমানব পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও বাঙ্গালীর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে, এই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো বিশাল দলের নৌকার শক্ত হাতে হাল ধরার দক্ষ নেত্রী ও লীগের সভাপতি । আপনার দক্ষ নেতৃত্বে দল ও দেশ চলিতেছে। দেশ ও দলের জন্য কাজ করা একইসাথে এটা আপনার মতো গোটা পৃথিবীতে কয়জনেরই বা আছে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলিয়া থাকেন আপনার একক সাহস ও বুদ্ধিতে নৌকা ঠিকভাবে চলিতেছে। খন্দকার মুস্তাকের দল যে  ঊৎ ফাতিয়া বসিয়া নাই তাহা মোটেই ভুলিয়া যাইবেন না। মনে রাখিবেন, কুকুরের লেজ ১২ বছর চোঙ্গায় রাখিলেও সময়মতো বাঁকা হইয়া যায়।

আপারে,

গোটা দেশে বাজেট লইয়া তোলপাড় শুরু হইয়াছে। বাজেট যেন সাধারণ মানুষের কাছে গরীব ও অসহায় নৌকা সমর্থকদের কাছে ভয় ও আতংক সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখিতে হইবে। যেই সব বিষয়ে প্রচণ্ড আপত্তি আসিতেছে সেই বিষয়ে ফাইনালে আপনি চমক দেখাইয়া দিবেন। সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের বক্তব্য সেই আভাস আজ সচেতন জনগণ লক্ষ্য করিয়াছে। তোফায়েল সাহেব বলিলেন, ‘বাজেট এমনভাবে পাস হবে যে মানুষ শুধু প্রশংসা করবে না, বলবে, এটা দেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট’। বাজেটে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম যাহাতে না বাড়ে সেইদিকে খেয়াল রাখিতে হইবে। প্রতিটি বাজেটে যদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়ে তখন সাধারণ জনগণ যদি বলে ‘আমরা বাজেট চাই না, খেয়ে পড়ে বাঁচতে চাই’। তখন আশ্চর্য হইবার কিছুই থাকিবে না।

আপারে,

আপনার পিতা ও বাঙ্গালী জাতির ধন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর বাবু -কায়সার ও ইদ্রিস বিকমের জন্মভুমি আনোয়ারা। এই জনপদে এখন  একজন মন্ত্রী ও একজন সংরক্ষিত মহিলা এমপি রহিয়াছেন। শাহ মোহসেন আউলিয়ার পূণ্যভুমি এইটি। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর কেন্দ্রীয় নেতাসহ বাবু- কায়সার ও ইদ্রিস বিকমকে  সাথে লইয়া এই এলাকার দূর্গত অঞ্চলে ত্রাণ লইয়া আসিয়াছিলেন আপনি, যাহা এখানাকার মানুষ এখনো স্মরণ করিয়া আপনাদের গুনগান গাহিয়া থাকে। অথচ ওই সময় বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। ঘৃর্ণিদূর্গত অঞ্চল রায়পুর ইউনিয়নে বেগম জিয়ার আগে আসিবার কথা থাকিলেও তিনি আসিলেন পরে। হেলিকপ্টারে তিনি ভিসিট করিয়া ত্রাণ পাঠাইলেন হেলিকপ্টারে।হেলিকপ্টার থেকে নিচে পেলে দিলেন চালের বস্তা।ওই চালের বস্তা মাথায় পড়িয়া মারা গেল একজন মানুষ। ওই কথাও মানুষ এখনো ভুলিয়া যায় নাই। এইসব কথা বলিবার অর্থ হইল, ৯১পরে এইদেশে বেশ কয়েকবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় হইয়াছে। গেলবার রোঁয়ানোর আঘাতে পুরো রায়পুর ইউনিয়ন অরক্ষিত হইয়া পড়িয়াছে। আপনার পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ  এই অঞ্চলের সংসদ সদস্য ও ভুমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ তাৎক্ষনিকভাবে দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াইলেন।ওইসময় দুইমন্ত্রী বাঁধ নিমার্ণে ৩শত কোটি টাকা ব্যয় করিয়া এই অঞ্চলকে রক্ষা করিবেন বলিয়া আশ্বাস দিয়াছিলেন। যাহা আপনি একনেকে পাশ করিয়া আপনার ও মন্ত্রীদের মূখ উজ্জ্বল করিয়াছেন। এইজন্য এই অঞ্চলে আপনার জনপ্রিয় বাড়িয়া গিয়াছে।

 আপনারে,

রায়পুর ইউনিয়নকে রক্ষা করিয়া আপনার জনপ্রিয়তা ধরিয়া রাখিতে ও আরো বাড়াইতে হইলে এই অঞ্চলের মানুষের খবরাখবর রাখিতে হইবে। বেড়ীবাঁধ নিমার্ণে যাহাতে দূর্নীতি না হয় সেইজন্য এই অঞ্চলের মানুষ সেনাবাহিনীর মাধমে নির্মাণের দাবী তুলিয়াছে।এখানকার বৃহৎ সামাজিক সংগঠ্ন রায়পুর জনকল্যাণ সংস্হা এই দাবী যুক্তিযুক্ত বলিয়া মত প্রকাশ করিয়াছে।ইতিমধ্যে গ্রাম অঞ্চল হইলেও হাজার হাজার মানুষ ওয়াহেদ আলী চৌধুরীর হাটে মানববন্ধন করিয়া এই দাবী জানাইয়াছে। তাহারা বলিতেছেন, স্হায়ী বাধঁ নির্মাণ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে করা হউক। ‘প্রিয় রায়পুর’ সহ অসংখ্য ডিজিটাল কিংবা ভার্চুয়াল পেইজ এই বিষয়ে প্রচারণা চালাইতেছেন। আনোয়ারা অনলাইন নিউজ ফোরাম এই বিষয়ে তাহারা মাঠে কাজ করিতেছে। এলাকার ত্যাগী সমাজসেবক ও আওয়ামীলীগের সচেতন নির্লোভ দেশপ্রেমিক লোকেরাও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাধঁ নির্ণিত হউক তাহাই বলিতেছে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হইলে দূর্নীতিও হইবে না, টেকসই বাঁধও নির্ণিত হইবে সেইসাথে আপনার ও দলের মন্ত্রী – এমপিদের জনপ্রিয়তাও বাড়িবে।বিষয়টি গভীরভাবে ভাবিবেন ও তড়িৎ ব্যবস্হা নিবেন। আজ আর না।আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্হ্য কামনায়।

                                                                                                                                                               ইতি

 

                                                                                                                            আপনারই বিশ্বস্ত গ্রাম বাংলার                                                                                                                                              অখ্যাত

                                                                                                                                                                                                                                          ঠাণ্ডা মিয়া

আগামী সংখ্যায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. কামাল হোসেন  সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (২০৩) সম্প্রচার করা হইবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply