২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:১৫/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৩:১৫ অপরাহ্ণ

সাইক্লোন মোরা তার পথ বদল করে বাংলাদেশ উপকূলের দিকেই আসছে

     

Storm2k নামক একটি সাইটে বাংলাদেশ এর আঘাত হানতে যাওয়া সাইক্লোন মোরা নিয়ে এর ভয়াবহতা সহ সতর্ক করে দিয়েছে। এই সাইটটি পরিচালিত হয় শীর্ষ আবহাওয়াবিদ ও সাইক্লোন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা।
তারা বিশ্বের সব বড় সাইক্লোন গুলোই পর্যবেক্ষণ করেন, এবং আমার বলতেই হবে যে এই ঘূর্ণিঝড়কে তারা যতটা গুরুত্বের সাথে দেখছে দীর্ঘদিন বঙোপসাগরের অন্য কোন ঘূর্ণিঝড়কে এতোটা গুরুত্বের সাথে দেখেননি।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কে নিয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরার জন্য ম্যাসেজ বোর্ড এর একটা বার্তাই উল্লেখ করছিঃ
” গত ছয় ঘন্টা যাবত বাংলাদেশের জন্য যতটুকু খারাপ হতে পারত ততটুকুই হয়েছে।” সাইক্লোন মোরা তার পথবদল করে বাংলাদেশ উপকুলের দিকেই এগোচ্ছে।
১। এর কেন্দ্র ৯১ পশ্চিম এর কাছে, মায়ানমারে আঘাত হানার মত যথেষ্ট পূর্বে নেই।
২। অবস্থা ক্রমশ গুরুতর হচ্ছে।
৩। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে যতটা বলা হয়েছে এটা তার চেয়েও অনেক বড়।

এই তৃতীয় ফ্যাক্টর ই ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে।”

যদি এর তীব্রতা না কমে যায় তবে এর ভয়াবহতা কমপক্ষে ১৯৮৫ এর ঘূর্ণিঝড় এর মত হতে পারে।

যদিও প্রথম আলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৪-৫ ফুট হবে কিন্তু এখানকার ধারাভাষ্যকারদের মতে তা ১০ ফুট হবে যার কারণে ব্যাপক প্রাণক্ষয়ের আশংকার রয়েছে যদি না এখানকার মানুষকে দ্রুত নিরাপদস্থলে সরিয়ে নেয়া হয়।

ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী ‘ডেল্টা’ অংশে যা তুলনামূলক অধিক সুরক্ষিত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার কিংবা সুন্দরবনের চাইতে দুর্বল।

সবাই সবার ঝড় উপদ্রুত এলাকায় থাকা বন্ধু আত্বিয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিন।

আমরা অনেকেই ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে এই ভেবে যেহেতু বিগত কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তাই এটাতেও হবেনা।

একটি সাইক্লোন তখনি দুর্বল হয়ে যায় যখন আঘাত হানার ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা আগে থেকে বৃষ্টি ও হাওয়া বয়ে যায়। প্রচুর বৃষ্টিপাত সাইক্লোনকে দুর্বল করে দেয়। তবে যখন সাইক্লোন আঘাত হানার ১০ থেকে ১৫ ঘন্টা আগে ও বৃষ্টি হয়না আবহাওয়া গুমোট হয়ে থাকে এতে সাইক্লোন আরো বেশি শক্তি সঞ্চয় করে। অন্যদিকে  বৃষ্টিপাত ও আগাম হাওয়া না বয়ে যাওয়াতে সাধারণ মানুষ সাইক্লোনকে হাক্লা করে নেয়, এতেই হতাহতের সংখ্যা ব্যাপক থেকে ব্যাপক আকার ধারন করে, এমন নীরব আঘাত হেনেছিলো ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালের সাইক্লোন দুটি। ১৯৯১ সালে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ নিহত হয়।

কর্তৃপক্ষ ১০নং মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‌‘মোরা’ অবস্থান করছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে দশ (১০) নম্বর মহা বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে  ০৮ (আট)নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply