২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:০৭/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

দূর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও দালাল চক্রের কারণে অরক্ষিত গহিরা, সরেঙ্গা ও রায়পুর ইউনিয়নবাসীর দুঃখের সীমা নেই

     

সহায় -সম্পদ ও ঘরবাড়ী ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে ওরা । ইতিমধ্যে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের তিন হাজারের অধিক মানুষ সাইক্লান সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিবহনের অভাবে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছে না অনেকে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো মানুষের সেবায় কাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী এই রিপোর্ট লেখাকালীন সময়ে উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে বলে জানা গেছে। রায়পুর জনকল্যাণ সংস্হা, প্রিয় রায়পুর ও জাগ্রত বোয়ালিয়ার কর্মীরা মাঠে রয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছে। এদিকে নিউজ অব প্রিয় সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব বরৈয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোকিত পূর্ব বরৈয়া ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মুহাম্মদ নাছিরের উদ্যোগে সরেঙ্গা থেকে আগতের জন্য সেহেরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাননীয় মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সাহেবের  নির্দেশে সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সেহেরীর জন্য খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। বারশত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাইয়ুম শাহ পেইজবুক স্ট্রাটাসে লিখেছে এই মুহুর্তে আছি পারকি সমুদ্র সৈকতে, জোয়ার হচ্ছে, ভর জোয়ার হবে রাত তিনটার দিকে।বাতাস স্বাভাবিক,কিছু সময় পূর্বে খুব হালকা বৃষ্টি ছিল, এখন তাও নেই।এক ফাঁকে ঢু মারলাম লুসাই পার্কে ছিমছাম নীরবতা।খোর্দ গহিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি যায়নি, তাদের আহার বা সেহেরির কোন ব্যবস্থা এখনো হয়নি বলে জানালেন আনোয়ারা টিমের সদস্য নওশাদ আলী রুবেল। এদিকে সরেঙ্গার তরুন সমাজসেবক ফোরকান হোসেন ফরহাদ তার ফেইজবুক সট্রাটাসে লিখেছেন কবে আমরা এই মহাবিপদ থেকে রক্ষা পাব? আজও মা-বাবা আর ভাইবোনকে নিয়ে আশ্রয়ের খুঁজে অবস্থান নিতে হচ্ছে বাড়ি থেকে দূরে বরৈয়ায়।একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ যদি আমাদের থাকতো আজ আমাদের নিরাপত্তার জন্য এদিকসেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হতনা।দক্ষিণ সরেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর উত্তর সরেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া মানুষের মাঝে কলা,চিড়া,পাউরুটি ও শুকনা খাবার প্রদান করছেন স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।জাগ্রত বোয়ালিয়া রায়পুর হাইস্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে মোমবাতি দিয়েছে।সাহস যোগাচ্ছে আশ্রিত মানুষের পাশে থেকে।খোর্দ্দ গহিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও পর্যন্ত রাত ২টা পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি যায়নি, তাদের আহার বা সেহেরির কোন ব্যবস্থা এখনো হয়নি!তাই স্বপ্নের আনোয়ারা পরিবারের পক্ষ হতে এই কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনের জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে স্বপ্নের আনোয়ারা সুত্রে জানা গেছে।

 

 

 

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply