২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:২৬/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১২:২৬ অপরাহ্ণ

২ জুন দেশের সকল মসজিদ থেকে গণপ্রতিবাদ করার আহবান সুপ্রিম কোর্টের সামনে পুনরায় গ্রীক দেবীমূর্তি স্থাপন জঘন্য ধৃষ্টতা ও সেরা তামাশা -শীর্ষ উলামায়ে কেরাম

     

অনতিবিলম্বে সুপ্রীম কোর্ট এনেক্স প্রাঙ্গন থেকে গ্রীকদেবীমূর্তি সরানোর জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম। তাঁরা বলেন: গ্রীক দেবীমূর্তি ন্যায় বিচারের প্রতীক মানলে মুসলমানদের ঈমান তথা মুসলমানিত্ব থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা ও মন্ত্রীপরিষদে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও এখনও উক্ত মূর্তি সাময়িক সরায়ে রেখে এনেক্স ভবনের সামনে তা পুন:স্থাপন করে মুসলিম উম্মাহকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। যা জঘন্য ধৃষ্টতা ও সেরা তামাশা। মূর্তি স্থাপন, মূর্তি পূজা ইসলামে চিতরে হারাম ও জঘন্যতম শিরক। এ সত্য জানার পরও ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশের সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে মূর্তি স্থাপন করে ইসলামের দুশমনরা সরকার, দেশের বিচারব্যবস্থা ও ইসলাম প্রিয় জনতাকে মুখোমুখী দাঁড় করাতে চায়। ইসলামের আক্বীদা ও বিশ্বাসকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ আদলত থেকে মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অপসারণের ক্ষেত্রে অনমনীয় মনোভাব পোষণ করলে দেশ ক্রমশঃ দ্বন্দ্ব-কলহ, ঝগড়া-বিবাদ, দাঙ্গা-হামাঙ্গা,হানাহানি,সংঘর্ষ ও সঙ্ঘাতের দিকে যেতে পারে। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশিল হয়ে উঠার আগেই এ সমস্যা সমাধানে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত বলে আমরা মনে করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও কোন খুটির জোরে ষড়যন্ত্রকারীরা মূর্তি সরিয়ে ইদুর-বিড়াল খেলায় মেতেছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
শীর্ষ উলামায়ে কেরাম বলেন- মূর্তি থাকবে মন্দিরে। কোন দর্শণীয় স্থানে মূতি রাখা যাবে না। আমাদের এ প্রিয় মাতৃভূমিতে কালের পর কাল বিভিন্ন মূর্তি তাদের মন্দিরেই নিরাপদে গচ্ছিত রাখা হতো। মুসলিম উম্মাহ কোনভাবেই অন্য ধর্মের ধর্মীয় অধিকার হরণ করেনি, ভবিষ্যতেও কোনদিন করবেও না। বরং জীবন বাজী রেখে সকল ধর্মের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।
শীর্ষ উলামায়ে কেরাম আরো বলেন: মূলত: কতিপয় অশুভ শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করতেই মূর্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর অনৈসলামী চিন্তা-চেতনা চাপিয়ে দিতে ব্যাপক প্রভাব খাটাচ্ছে। মূর্তি স্থাপনের কারণে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব বিশ^নবী রাসূলের (সা.) আদর্শবাদিতার উপর নাস্তিক্যতা ও পৌত্তলিকতার গভীর আঘাত করা হয়েছে। সুতরাং কারো কূপ্রভাব, প্ররোচনায় ও চোখ রাঙানো নয়, ঈমানী তাগিদেই মূর্তি অপসারণ করতে হবে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সম্বলিত যে কোনো কাজ জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। দেশে বর্তমান আইনেও এ ধরনের কাজ নিষিদ্ধ।
শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ২জুন জুমুয়াবার দেশের সকল মসজিদ থেকে প্রতিবাদ করার জন্য খতীবদের প্রতি আমরা আহবান জানাচ্ছি। সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে ঈমানী ও নৈতিক অধিকার আদায় করা হবে ইনশাল্লাহ।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- শাইখ আবদুল মোমিন, মাওঃ মোহাম্মাদ ইসহাক, হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন,মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, শাহতলীর পীর মাওঃ আবুল বাসার, ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আব্দুল্ল¬াহ মোঃ হাসান, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব মাওঃ শাহ আরিফ বিল্ল¬াহ সিদ্দীকি, মীরের সরাইর পীর সাহেব মাওঃ আঃ মোমেন নাছেরী,টেকের হাটের পীর সাহেব মাওঃ কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, মুফতি মাওলনা আবদুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ, মাওঃ সালেহ সিদ্দীকি, মাওঃ হাফেজ আবুল হোসাইন,জাতীয় ইমাম সোসাইটির মহাসচিব মুফতি জোবায়ের আহমদ কাসেমী, প্রফেসর মাওঃ মুফতি ইসহাক মাদানী, হাফেজ মুফতি মাওঃ আব্দুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ইখলাস উদ্দিন, মাওঃ আবু হানিফ নেছারী, অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, হাফেজ ফারুক হোসাইন, মাওঃ এহতেশামুল হক, নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাওঃ আব্দুল ক্দ্দুুস আল কাসেমী ও মহাসচিব শাইখ আব্দুল কাউয়ূম, জাতীয় তাফসীর পরিষদ সভাপতি মাওঃ আব্দুল আখির ও মহাসচিব মাওঃ আবু দাউদ যাকারিয়া, ইসলাহুল মুসলিলিমিন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার ও মহাসচিব মুহাদ্দিস হাসানুল ইমাম, জাতীয় মুফাসসিরিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন ও সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল আমীন, জাতীয় ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা ফজলুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা এবি.এম শফিকুল্লাহ, মাদরাসা মসজিদ ও খানকা ঐক্যপরিষদ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ইসলামী সমাজ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান আল কাশেমী ও সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি জাকারিয়া, ইসলামের জনতা সভাপতি মুফতি আবদুল কুদ্দুস ও মহাসচিব হাফেজ আবুল কাসেম, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি শাইখ যাইনুল আবেদীন ও সেক্রেটারী মাওলানা আবদুর রহমান, তালিমুল কুরআন সোসাইটি মুফতি আবদুল হালিম, মহাসচিব মাওলানা সিজরাজুল ইসলাম, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারী মুফতি ইসহাক, মুফতি মাওঃ নাসির উদ্দীন খান, শাহ এমদাদুল্ল¬াহ পীর সাহেব, শাহ ওয়ালিউল্ল¬াহ পীর সাহেব গাছতলা, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের আমির আধ্যাত্মিক গুরু শাইখ নুরুল হুদা ফয়েজী, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের জেনারেল সেক্রেটারী আল্লামা মুস্তাক ফয়েজী, ইসলামী ঐক্য মঞ্চ সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস হোসাইন, সেক্রেটারী আবদুস সাত্তার, খাদেমুল ইসলাম জামাত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ, সেক্রেটারী মাওঃ সারওয়ার হোসাইন, জাতীয় খতীব পরিষদের আমীর মুফতি মাওলানা মাউদুর রহমান, হুফ্ফাজ পরিষদ সভাপিত হাফেজ লেয়াকত হোসাইন ও সেক্রেটারী মুফতি মাহবুবুর রহমান, ইসলামী অন লাইন এ্যাক্টিভিটস সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ ও মহাসচিব মুফতি আবু আনাস, সম্মিলিত ইসলামিক জোটের আমির মাওলানা আবদুল বাকি, সেক্রেটারী জেনারেল মাওঃ মনিরুজ্জামান,জমিয়াতে উলামা দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারী হযরত মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী প্রমুখ।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply