২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:২৭/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৭:২৭ অপরাহ্ণ

গুচ্ছগ্রাম কার্ডধারীদের রেশন যথাযথ বিতরণের দাবী

     

অন্তর মাহমুদ,মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সদরসহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বাজার গুলোতে চালের দাম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত প্রায় মাস খানেক থেকে কেজি প্রতি অন্তত ২/৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে চালের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকলে আসছে রমজানে এর প্রভাব পড়বে খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। সারাদিনের পরিশ্রমের অর্জিত টাকা যদি শুধুমাত্র চাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়,তাহলে-মাছ,তরকারীসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিভাবে কিনবেন ঐ খেটে খাওয়া মানুষগুলো ? সরকারের ঘোষিত স্বল্প মূল্যের (১০টাকা দরে) চাল বিক্রয়,বিজিএফ‘এর চাল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন মহল মনে করেন,যদি গুচ্ছগ্রামের প্রত্যেক কার্ডধারীদের রেশন স্ব স্ব প্রজেক্ট চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিতরণ কেন্দ্র থেকে সঠিক ওজনের মাধ্যমে বিতরণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা না করা হয় চালের দাম বৃদ্ধি স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে না। এ সময় তারা প্রশাসনের তদারকি কর্মকর্তাসহ পুর্বের ন্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিষয়টি সম্পর্কে সরেজমিনে কার্ডধারীরা জানান, প্রকল্প চেয়ারম্যানের গুদামে প্রতি কার্ডের জন্য নির্ধারিত সম্পূর্ণ রেশন প্রথমে গুদামজাত করতে হবে । তারপর প্রত্যেক কার্ডধারীর মাঝে বিতরণ নিশ্চিত করা গেলে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব । তারা উপজেলা প্রশাসন ও সেনা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এর আগে প্রজেক্ট চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে রেশন বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমাধান হয় এবং বিতরণ নীতিমালা যথাযথ বাস্তবায়ন হলে সাধারণ কার্ডধারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। ফলে বিতরণ কাজে সহায়তা করায় চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছিল বলেও জানান তারা। এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলম ,রেশন বিতরণ যথাযথ প্রক্রিয়ায় চলছে দাবী করে বলেন,কিছু স্বার্থেন্বেষী মহলের ব্যক্তিগত পছন্দের লোকজনের রেশন ব্যবসার সুবিধা কমে যাওয়ায় তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে কার্ডধারীরা বেশীর ভাগ রেশন বিক্রয় করে দেয় বিধায় সকল কার্ডের রেশন বিলি হয়না বলেও তিনি বলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক কার্ডধারী বলেন,গুচ্ছগ্রামের প্রজেক্ট চেয়ারম্যানেদের নানা অনিয়ম ও দূনীতির কারণেই সাধারণ কার্ডধারীরা রেশন বিক্রয় করতে বাধ্য হয়। সময়ের রেশন সময়ে না দিয়ে বরং আজ দিবো কাল দিবো বলে সাধারণ রেশন কার্ডধারীদের হয়রানী করেন। কোন কোন প্রজেক্ট চেয়ারম্যান নিজের পছন্দ মতো দিন ধার্য্য করেন বিতরণের জন্যে কার্ডধারীদের সাথে যোগাযোগ ছাড়াই। সংসারের চাপে হয়রানীর শিকার রেশন কার্ডধারীরা উপায়ন্তর না পেয়ে তখন প্রয়োজনের তাগিদে বাজারের চলমান দামের চেয়ে কার্ডপ্রতি প্রায় ৩/৪ শত টাকা কমে প্রকল্প চেয়াম্যানের নিকট বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অর্থনৈতিক লাভের আশায় কার্ডধারীরা নিজেদের রেশন নিজেরা উত্তোলোন করে বাজারে বিক্রয় করতে চাইলে বাধা দেয়ার অভিযোগও রয়েছে কতিপয় প্রকল্প চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর আহবায়ক ও মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র মো: শামছুল হক বলেন,যারা গুচ্ছগ্রামের বিভিন্ন প্রকল্প চেয়ারম্যানদের সাথে মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধ উপায়ে ব্যবসা করছেন তারাই বলবেন রেশন বিতরণ ব্যবস্থা যথাযথ ভাবে চলছে। তিনি সাংবাদকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আপনারা গুচ্ছগ্রাম গুলোতে সরেজমিনে গেলেই সত্যতা জানতে পারবেন। প্রত্যেকটি প্রকল্প চেয়ারম্যানের বিতরণ ব্যবস্থা একই অবন্থা,বিতরণ নীতিমালা মানছে না কেউ সঠিকভাবে। এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গার ইউএনও বিএম মশিউর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে রিং হয়ে শেষ হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply