২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:৫১/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১০:৫১ অপরাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মৃত্যু

     

সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই নির্মাণ শ্রমিক ও এক কৃষক মারা গেছেন।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার কুমিরা ও এয়াকুবনগর এলাকায় পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বুধবার সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ঘাটঘর এলকায় কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজ মুহাম্মদ মুসলিমের ভবনের ছাদে কাজ করছিল তিন শ্রমিক। এসময় তারা ভবনের ওপর থাকা ১১ হাজার ভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে নীচে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হয় তিন শ্রমিক। স্থানীয়রা তাদের  তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুই শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন। তারা হলো- সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার দক্ষিণ সিবিআরপার গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে মোহাম্মদ শাহীদ (১৮) ও নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার চরপাবর্তী গ্রামের মোহাম্মদ দুলালের ছেলে শীমুল (১৭)। এঘটনায় গুরুতর আহত ফাহিম (১৬) মেডিকেলের ২৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। সে সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা রহমতপুর গ্রামের মোহাম্মদ দেলোয়ারের ছেলে।

এদিকে সীতাকুণ্ড থানার এসআই সোহেল রানা জানান, আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌর সভার এয়াকুব নগর নূনেছড়া এলাকায় ক্ষেতে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুলুমিয়া (৩০) পিতা দিলদার নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুলুমিয়ার গ্রামের বাড়ী জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার চক সাকুল গ্রামে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, বন্য প্রাণীর কবল থেকে পাহাড়ের ঢালুতে করা শষ্যক্ষেত রক্ষার জন্য রাতে বিদ্যুতায়িত করে রাখে মালিক। সকলে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিক দুলুমিয়া সে বিদ্যুৎতারে জড়িয়ে প্রাণ হারান। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান বলেন, এডিশনাল ডিআইজির ভবনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তিন নির্মাণ শ্রমিক। তাদের মধ্যে দুইজন মারা যায়। গুরুতর আহত আছে আরও এক শ্রমিক। এছাড়া পৌরসভার এয়াকুবনগরে ধান কাটতে যাওয়া এক কৃষক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।

কক্সবাজার জেলার টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম জানান, তার ভবনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply